4 মাস আগে
ফকিরহাটে রেলওয়ের গাছ পড়ে চার ফার্নিচার দোকান গুঁড়িয়ে: ক্ষতিগ্রস্তদের আহাজারি, পুনর্বাসনের দাবি
বাগেরহাট জেলার ফকিরহাট উপজেলায় বুধবার (১৮ জুন ২০২৫) সকাল ৮টার দিকে ভয়াবহ এক দুর্ঘটনায় চারটি ফার্নিচারের দোকান মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। উপজেলার সিংগাতী পোস্ট অফিসের সামনে বাংলাদেশ রেলওয়ের জমিতে থাকা একটি বিশাল গাছ হঠাৎ উপড়ে পড়ে “রেশমি ফার্নিচার”, “মুন্নি ফার্নিচার” এবং “জিহাদুল ফার্নিচার”-এর উপর। এতে দোকানগুলো কার্যত মাটির সঙ্গে মিশে যায়।
ক্ষয়ক্ষতি ভয়াবহ, দোকান মালিকের কান্না
ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে সবচেয়ে বড় ধাক্কা খেয়েছেন মুন্নি ও রেশমি ফার্নিচার-এর মালিক মো. বাবুল মোড়ল। তার মালিকানাধীন তিনটি দোকানই একসঙ্গে ধসে পড়ে। তিনি বলেন,
“আমার স্বপ্নের তিনটি দোকান এক মুহূর্তেই শেষ হয়ে গেল। ভেতরে ১০ লাখ টাকার মালামাল ছিল—সব ধ্বংস। এখন বাঁচাটাই চ্যালেঞ্জ হয়ে গেছে।”
জানা গেছে, এই দোকানগুলোতে খাট, আলনা, ড্রেসিং টেবিল, ওয়াল কেবিনেটসহ বহু প্রস্তুতকৃত মূল্যবান ফার্নিচার ও যন্ত্রপাতি ছিল, যা সম্পূর্ণরূপে নষ্ট হয়ে গেছে। একই সঙ্গে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন জিহাদুল ফার্নিচারের মালিক জিহাদুল ইসলাম।
অচল মহাসড়ক, সংকটে কর্মজীবন
রেলওয়ের গাছটি খুলনা-রূপসা-বাগেরহাট মহাসড়কের উপর পড়ে থাকায় কিছু সময়ের জন্য যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুর্ঘটনার পরপরই ফায়ার সার্ভিসের একটি দল এসে গাছ কেটে রাস্তা উন্মুক্ত করার কাজ শুরু করে। তবে এখনও সম্পূর্ণভাবে গাছ অপসারণ সম্ভব হয়নি।
এদিকে, চারটি দোকানে মোট ৫০ জনের বেশি শ্রমিক ও কর্মচারী নিয়মিত কাজ করতেন। দোকানগুলো চালু না হওয়া পর্যন্ত তাদের সবার কর্মজীবন অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছে।
প্রশাসনের প্রতি আহ্বান
ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ী ও স্থানীয়রা রেলওয়ের গাছ দ্রুত অপসারণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক ও কর্মীদের পুনর্বাসনের জন্য জরুরি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।
স্থানীয়দের ভাষায়,
“প্রশাসনের দৃষ্টি না পড়লে অনেক পরিবার পথে বসে যাবে। এই গাছ অনেক আগে থেকেই ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় ছিল, কিন্তু কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নেয়নি।”